টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের লক্ষীদিয়া গ্রামে সরকারি রাস্তা দখলের অভিযোগ উঠেছে। লক্ষীদিয়া কালিবাড়ি হইতে রহম মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ৪৫/৫০ বছরের পুরাতন এই রাস্তা। ভাদ্রা ইউপি সদস্য মো. মজিবর রহমান ওরফে সুনিল মেম্বারের কারসাজিতে রাস্তাটি দখলের চেষ্টা করছেন কবির ও নাছির নামের দুই ভাই।
সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাদ্রা ইউনিয়নের লক্ষীদিয়া কালিবাড়ি হইতে রহম মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ৪৫/৫০ বছরের পুরাতন একটি রাস্তা। ১৯৯২ সালে তৎকালিন ভাদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে রাস্তাটিতে প্রথম মাটি ফেলেন। ২০০৫ সালের দিকে সেই রাস্তার পাশে জমি কিনে বাড়ি করেন কবির ও তার পরিবার। দীর্ঘ ২ যুগ পর ইউপি সদস্য সুনিলের সহায়তায় রাস্তার গাছ কেটে নেন কবির।

সেই সাথে রাস্তার মাটি কেটে ওপর পাশে মিন্টু মিয়ার জায়গায় ফেলে জোর করে নতুন রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করছেন। এতে বর্তমান রাস্তাটির ৮ ফুট পাশ ও প্রায় ৫০ ফুট লম্বা এই পরিমান জায়গা কবীর ও নাছির এর দখলে চলে আসবে। সুনিল মেম্বার কবির ও নাছির কে রাস্তার পাশে থাকা গাছ কেটে নিতে বলে এবং মাটি কেটে মিন্টু মিয়ার বাড়ি ঢাল ঘেঁষে রাস্তা করতে বলে।
ভাদ্রার প্যানেল চেয়ারম্যান আজমের সহযোগীতায় সুনিল কবিরদের রাস্তা সরিয়ে দিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে। মিন্টু মিয়ার জমি দখল করে দেয়া উদ্দেশ্যে সুনিল মেম্বার হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গা থেকে জোর জুলুম করে আগে থেকেই মাটি কেটে এনে স্তুপ করে রাখে। এতে সন্দেহের দানা বাধে এলাকাবাসির মনে। তাদের প্রশ্ন এতো বছরের পুরানো রাস্তা এখন অন্যের জায়গার উপর দিয়ে কেনো দিতে হবে। এখানে সুনিল মেম্বারের স্বার্থটা কি। সুনিল মেম্বার হবার পর থেকে অত্র এলাকায় অসহায় মানুষদের বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ভয় ভিতি দেখিয়ে একক ভাবে মাটি কেটে অনেক আবাদি জমি ধ্বংশ করে দিয়েছে বলে জানা যায়। মাটির ব্যবসা করার কারণে এলাকায় সুনিল মেম্বার কে মাটি খেকো মেম্বার হিসেবে সবাই চিনেন।
মিন্টু মিয়া ও তার বোন বলেন, রাস্তার এ পাশে তাদের কোন জমি নেই। ইউপি সদস্যরা আমার জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে জোর পূর্বক সীমানার পিলার দিয়ে যায়। এখন কবীর ও নাছির ইউপি সদস্য সুনিল মেম্বারের সাথে হাত মিলিয়ে আমার জায়গা দখল করে রাস্তা নিমার্ণ করছে। প্রায় ৫০ বছরের পুরাতন রাস্তাটি তারা দখলে নিতে চায়। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা ভূমি অফিসে একটি অভিযোগ দিয়েছেন মিন্টু মিয়া। কবীর ও নাছির বলেন, সুনিল মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আজম আমাদের জায়গা পরিমাপ করে সিমানা খুটি গেরে দিয়েছে।
আমরা সুনিল মেম্বারের নির্দেশে গাছ কেটে নেই। মেম্বার এপাশের মাটি কেটে ওপাশে আমাদের সিমানায় ফেলে রাস্তা করে দিতে বলেছে। আমরা আমাদের জায়গায় মাটি ফেলেছি। ভাদ্রা প্যালেন চেয়ারম্যান আজম মিয়া বলেন, প্রায় তিন বছর আগে কবীর ও নাছিরের জমি পরিমাপ করে দিয়েছি। রাস্তার ওপাশে কবীর ও নাছিরের কিছু জায়গা আছে। কয়েক বার কবীর আমাকে বলছে তার সীমান ঘেষে রাস্তা করে দেয়ার জন্য। আমি বলে দিয়েছে রাস্তায় সরকারি অর্থ দিয়ে মাটি ফেলা হয়েছে। এটা সরানো আমার পক্ষে সম্ভব না। ইউপি সদস্য মুজিবর রহমান সুনিল বলেন, তাদের গাছ তারা কেটে নিয়েছে। আর রাস্তার বিষয়ে আমি কিছুই বলবো না। আপনারা যা পারেন আমার বিরুদ্ধে লেখন।