টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গয়হাটা মধ্যপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার গয়হাটা বাজারে এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি বাজারের ভিবিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মানববন্ধনে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আলফাজ উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মো. শহিদ মিয়া, কোষাদক্ষ্য মো. ইদ্রিস আলী সিকদার ও ইউপি সদস্য জাকির তালুকদার বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গয়হাটা বাজারে (মধ্যপাড়া) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নামে ২৪৭৩ খতিয়ানে ৬৭৪২ নং দাগে ৪৭ শতাংশ জমি, ৬৭৪৩ দাগে ২ শতাংশ কান্দা ও ৬৭৪৪ দাগে মাদ্রাসার নামে ১ শতাংশ। মোট মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে ৫০ শতাংশ জমি এস এ রেকর্ডে লিপিবন্ধ হয়। মসজিদের নামের ৫০ শতাংশ ভূমি থেকে ২০০৭ মো. রওশন আলী ও তার স্ত্রী মোছা. ছাহেরা বেগম ৩ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত আনেন। বক্তরা আরো বলেন, মসজিদের নামে রেকর্ডকৃত জমি থেকে নয়াপাড়া গ্রামের মো. রওশন আলী নিজেকে ভূমিহীন দেখিয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেন। ২০০৭ সালে ভূমি মন্ত্রনালয়ের ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে জেলা প্রশাসক ৩ শতাংশ ভূমি মো. রওশন আলী ও তার স্ত্রী ছাহেরা বেগমের নামে বন্দোবস্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১শত ৪০ বছর পূর্বে তৎকালিন জমিদার কালি কুমার সেন চৌধুরী ৩ দাগে ৫০ শতাংশ জমি গয়হাটা মধ্যপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। উক্ত ৫০ শতাংশ ভূমি মাঠ জড়িপে মসজিদ কমিটির নামে ডিপি খতিয়ান ভুক্ত হলেও চুরান্ত রেকর্ডে খাষ খতিয়ান (১ নং খতিয়ান) ভূক্ত হয়। মানববন্ধনে এলাকাবাসী মসজিদের জায়গা মসজিদের নামে ফেরৎ দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃর্পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মো. রওশন আলী বলেন, গয়হাটা বাজারে ৬৭৪২ বাডা ৭২৪৩ দাগে ২৪৮২ খতিয়ানে আমার ও আমার স্ত্রীর নামে ৩ শতাংশ জমি রেকর্ড পাই। পরে নাম জারি ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে দখলদার আছি। আমার জমির দাগ ও খাতিয়ান নং সম্পূর্ণ আলাদা । এছাড়া আমার স্বত্য দখলিয় ৩ শতাংশ জমির উপর বিবাদীদেও বিরুদ্ধে চীরস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।