টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নে ইউপি চেয়াম্যান অনুপস্থিত থাকায় থমকে গেছে সেবা কার্যক্রম। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটে। ছাত্র—জনতার অভ্যূত্থানের পর সারা দেশের পৌরসভা সিটি জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন অন্তবর্তী সরকার। জনগণের ভোগান্তি লাগবে চলমান রাখা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সমুহ। তবে বিগত সরকারের আমলে সারা দেশে বেশীর ভাগ আওয়ালীগের মনোনীত প্রার্থীরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। যা আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয়করনের বহি প্রকাশ। সরকার পতনের পর সঙ্গত কারনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা। ফলশ্রম্নতিতে থমকে গেছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ইউনিয়নের সাধারণ জনগন।
খেঁাজ নিয়ে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নে আবু বক্কর সিদ্দিক আওয়ামীলীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র—জনতার মামলার ভয়ে গত প্রায় ১৫ দিন যাবত সে ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিন দিন যাবত ছুটিতে রয়েছেন ইউপি সচিব। এমন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা ভারড়া ইউনিয়নের সাধারন জনগণ।
সেবা নিতে আসা ছোরাব আলী বলেন, মৃত্যু সনদের জন্য তিন দিন ধরে ঘুরতেছি পরিষদে। চেয়ারম্যান আর সচিব না থাকায় এই সমস্যা। আনোয়ার হোসেন নামের এক বয়স্ক ব্যাক্তি বলেন, কয়েক দিন ধরে জমির একটি কাগজে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য ঘুরতেছি।
পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যান পরিষদে না আসায় নাগরিক সনদ, জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ দেয় সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দ্বারা জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য কতৃর্পক্ষের নিকট আবেদন জানান তারা।
এবিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকের মুটো ফোনে (০১৭২১—২৪১২০৮) কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।