রাওয়ালপিন্ডিতে চতুর্থ দিনের শুরুতে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। এরপর শুরু হয় নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদের গতির ঝড়। সেই ঝড়ে লন্ডভন্ড পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হয় ২৭৪ রানে। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৬২ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের লিড দাঁড়ায় ১৮৪ রানের। ফলে জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে শান্তদের করতে হবে ১৮৫ রান। এর আগে পাকিস্তান-বাংলাদেশের দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের দ্রুত আটকে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন টাইগার বোলারদের। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ২ উইকেটে ৯ রানে অপরাজিত সাইম আইয়ুবের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক শান মাসুদ। দিনের নবম ওভারে পাকিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব (২০ রান)। তৃতীয় ডেলিভারিতে পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে (২৮) আউট করেন নাহিদ রানা। ডানহাতি এ পেসারের গতি সামলাতে পারেননি অভিজ্ঞ বাবর আজমও। ব্যক্তিগত ১১ রানে স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ধরা পড়েন তারকা এ ব্যাটার। যদিও পরের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ ফেলে দেন সাদমান।
প্রথম বলে জীবন পেয়ে পাকিস্তানের ইনিংসকে টানছেন এ উইকেটকিপার-ব্যাটার। যদিও পরের ওভারে সৌদ শাকিলকে সাজঘরে ফেরান নাহিদ। ফলে টানা তিন ওভারে উইকেট শিকার করেন ডানহাতি এ ফাস্ট বোলার। দিনের শুরুতে ৪ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের লড়াইয়ে রাখেন রিজওয়ান-সালমান জুটি। তবে লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে পরপর দুই বলে রিজওয়ান ও মোহাম্মদ আলীকে আউট করেন হাসান মাহমুদ।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে লিটনের হাতে ধরা পড়েন রিজওয়ান (৪৩)। পরের বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ আলী। নাহিদ রানার চতুর্থ শিকার আবরার আহমেদ। প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এ ছাড়া নাহিদ রানার শিকার ৪ উইকেট।