টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান দুই কর্মকর্তার দ্বন্দ্বে আউটডোরের সেবা কার্যক্রম বন্ধ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা নিতে আসা শত শত রোগী।সোমবার সকালে আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ইমারজেন্সির সামনে ভিড় করে।
এ সময় হাসপাতালে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়।জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এনামুল হক সোহেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরমধ্যে রোববার রাতে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এনামুল হক সোহেলের পিতার হক ন্যাশনাল ক্লিনিকের কয়েকজন লোক হাসপাতালের স্টোর কিপার রানা মিয়ার কাছে একটি খোলা টিঠি দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল থেকে হাসপাতালের কর্মচারীরা ওই দুই কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে কর্ম বিরতি ও গণস্বাক্ষর দেন। এ সময় হাসপাতালের আউটডোরের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
ফলে ভোগান্তিতে পড়ে সেবা নিতে আসা শত শত রোগী। রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে সেবা না পেয়ে ফেরত চলে যান।সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন- আমরা ডাক্তার দেখাতে এসে দেখি হাসপাতালে কোন ডাক্তার নেই। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ডাক্তার না পেয়ে চলে যাচ্ছি। হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বে আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাদের এই দ্বন্দ্বের কারণে আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।হাসপাতালের স্টোর কিপারসহ কর্মচারীরা বলেন- যাদের দ্বন্দ্বের কারণে হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পাওয়াসহ অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার অপসারণ চাই।
হাসপাতালের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান বলেন- একটি কুচক্রী মহল হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।তবে মেডিকেল অফিসার ডা. এনামুল হক সোহেল হাসপাতালে না থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।