মধুপুর-ধনবাড়ির জনগণের মাঝে এবার ব্যপক সাড়া ফেলেছে মোহাম্মদ আলীর নির্বাচনী প্রচারনা। গ্রাম থেকে শহর, পথ থেকে মহাসড়ক সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এক নাম, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী। দীর্ঘদিনের ত্যাগ, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার কারণে বিএনপি’র হাইকমান্ডের দৃষ্টি এবার নিবিড়ভাবে পড়েছে তার দিকেই। জনগণের দাবিও এখন একটাই বিএনপি যেন মধুপুর-ধনবাড়ির আসনে মোহাম্মদ আলীকেই মনোনয়ন দেয়।
গত ১৬ বছর ধরে দমন-পীড়নের মধ্যে থেকেও বিএনপি টাঙ্গাইল জেলায় নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রেখেছিল। দলীয় কর্মসূচি পালনে বাধা, মামলার ভারে জর্জরিত নেতা-কর্মীদের হতাশার মধ্যে কাটছিল সময়। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক চিত্র বদলে যায় নাটকীয়ভাবে। আজ সেই টাঙ্গাইলেই রাজনীতির মাঠ পুরোপুরি বিএনপি’র নিয়ন্ত্রণে। আটটি সংসদীয় আসনের মধ্যে সাতটিতেই বিএনপি নেতারা সক্রিয়ভাবে মাঠে রয়েছেন, আর সবার নজর এখন টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের দিকে যেখানে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ আলী। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মেধা ও দক্ষতার পরিচয়ে তিনি শুধু আদালতেই নয়, রাজপথেও ছিলেন দলের জন্য এক অনন্য যোদ্ধা।
গত ১৫ বছর ধরে শত শত বিএনপি নেতাকর্মীর মামলা বিনা ফিতে, স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালনা করেছেন তিনি। দল ও নেতাকর্মীদের জন্য নিজের জীবন-সময়ের বড় অংশ উৎসর্গ করেছেন বলেই এখন তিনি দলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় সব জায়গায় আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। মোহাম্মদ আলী বলেন, “মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা দুইটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। কিন্তু গত ১৫ বছরেও এখানে কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জরাজীর্ণ, যুব সমাজ বেকারত্বে ভুগছে এ যেন এক অবহেলিত অঞ্চল। সত্যিই, পাহাড় ও সমতলের মিলনে গঠিত এ অঞ্চলটি তিন জেলার সংযোগস্থল হলেও উন্নয়ন যেন চিরকাল দূরের স্বপ্ন হয়ে রয়েছে।
রাজনীতিতে মোহাম্মদ আলী একজন ত্যাগী, নির্ভীক কর্মী। তিনি দুইবার কারাবরণ করেছেন, ১৭টি মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন, এমনকি একাধিকবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জীবনহানির মুখোমুখি হয়েছেন। তবুও তিনি রাজপথ ছাড়েননি, দল ছাড়েননি, জনগণকে ভুলে যাননি। এই দৃঢ় অবস্থানই তাকে আজ মধুপুর-ধনবাড়ির মানুষের হৃদয়ের মানুষ করে তুলেছে।
স্থানীয় জনগণ বিশ্বাস করে যিনি বিপদের সময় তাদের পাশে থেকেছেন, সেই মোহাম্মদ আলীই পারবেন তাদের অধিকার ও উন্নয়নের পথ দেখাতে। গ্রাম্য মেলাসহ চা দোকানের আড্ডায় আজ একটা কথা ঘুরেফিরে আসে “মোহাম্মদ আলীর মতো শিক্ষিত, ত্যাগী ও সৎ মানুষকে যদি বিএনপি মনোনয়ন দেয়, তাহলে এই আসন বিএনপির হবে শতভাগ। তার নির্বাচনী অঙ্গীকারও জনগণের স্বপ্নের প্রতিফলন। তিনি বলেছেন, “মধুপুর-ধনবাড়ির উন্নয়নে আমি স্বপ্ন দেখি একটি নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার। গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করে অন্তত ২৫ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আধুনিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে, যাতে তরুণ প্রজন্ম দক্ষ হয়ে চাকরির বাজারে এগিয়ে যেতে পারে। শুধু শিল্প নয়, কৃষিতেও তিনি আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে চান। তার পরিকল্পনায় রয়েছে আনারস, কলা, লেবু, পেঁপে, পেয়ারা, ড্রাগন ফল ও মাল্টা সহ স্থানীয় কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও রপ্তানির জন্য উন্নত বিপণন কেন্দ্র স্থাপন। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফলের ন্যায্য মূল্য পাবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
তিনি বিশ্বাস করেন জনগণের ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব। আর সেই পরিবর্তনের জন্যই তিনি প্রস্তুত। বলেছেন, “আমি রাজনীতি করি জনগণের সেবা করার জন্য। মধুপুর-ধনবাড়ির মানুষ স্থানীয় একজন নেতাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়, যে মানুষটি তাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বিএনপি যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আমি নির্বাচিত হয়ে এই এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও ন্যায়ের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ। তার প্রতিটি কথায় ফুটে ওঠে আন্তরিকতা ও অঙ্গীকারের দৃঢ়তা। তিনি আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, “বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধুপুর-ধনবাড়ির জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব। জনগণের জীবনমান উন্নয়নই হবে আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছেন, বিএনপি’র টানা সংগ্রাম, জনগণের আস্থা ও মোহাম্মদ আলীর জনপ্রিয়তা মিলিয়ে এই আসনে এখন সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তার আইনি দক্ষতা, সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগী ভাবমূর্তি তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
অন্যদিকে বিএনপি’র হাইকমান্ডের নেতারাও মোহাম্মদ আলীর কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। দলের ভেতরেও তার নেতৃত্বগুণ ও তৃণমূলের সাথে সংযোগের প্রশংসা চলছে। শোনা যাচ্ছে, বিএনপি’র হাইকমান্ডের সুদৃষ্টি এবার মোহাম্মদ আলীর দিকেই রয়েছে।
মধুপুর-ধনবাড়ির পথে পথে এখন উৎসবের আমেজ। মানুষের মুখে হাসি, চোখে আশার আলো যেন নতুন ভোরের প্রতীক্ষা। তারা বিশ্বাস করে, মোহাম্মদ আলীর মতো একজন সৎ, শিক্ষিত ও ত্যাগী মানুষ এমপি নির্বাচিত হলে এই অঞ্চল বদলে যাবে, জেগে উঠবে নতুন উন্নয়নের সূর্য।











