টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ স্থানীয়দের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিলেও তিনি এখন পরিচিত সমাজসেবক, মানবিক সহায়তাদাতা ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন কর্নেল আজাদ। তার রাজনৈতিক যাত্রার মূল লক্ষ্য পদ-পদবি নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানো। অসহায়-দরিদ্র মানুষের সেবায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ধারা অনুসরণ করছেন তিনি।
সমাজসেবা ও মানবিক কর্মকাণ্ড
করোনাকালে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, কৃষকদের সহায়তা, যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি ও নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা সামাজিক সমস্যায় সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার সহজ-সরল জীবনধারা ও সততা তাকে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এনে দিয়েছে।
জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতা আজাদ সাহেব সবসময় জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন। যেকোনো অসহায় মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দ্রুত সহায়তা করেন। নির্বাচনী সময়ে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিদিনই মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে থাকেন। তার এই জনসম্পৃক্ততাই তাকে অন্য প্রার্থীদের থেকে এগিয়ে রেখেছে।
তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানুষের সেবার জন্য, ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়। এজন্যই স্থানীয়রা তাকে জনতার নেতা হিসেবে মানছে। সাংগঠনিকভাবে তিনি কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে সফল হয়েছেন, যা তৃণমূল বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করেছে।
রাজনৈতিক আদর্শ ও আনুগত্য তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী চেতনা, বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের নতুন দিকনির্দেশনার প্রতি অনুগত। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী কর্নেল আজাদ সহিংসতা থেকে সবসময় দূরে থেকেছেন।
সব দিক মিলিয়ে বলা যায়, লে. কর্নেল (অব.) আজাদ কেবল অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা নন, তিনি এখন মানুষের ভালোবাসায় পরিণত হয়েছেন মানবিক জননেতা হিসেবে। স্থানীয়রা মনে করছেন, বিএনপি যদি সত্যিকারের জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়, তবে কর্নেল আজাদ হবেন সেই যোগ্য প্রতিনিধি, যিনি আসন্ন নির্বাচনে দলের বিজয় নিশ্চিত করতে পারবেন।