টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কৃষি অফিসার, কাকুয়া ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের মিলন মেলা বসেছিল চরাঞ্চলের শেষ প্রান্তে যমুনা নদীর তীরে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে নতুন করে জেগে ওঠা গয়লাহোসেন গ্রামে।
সকালে কাকুয়া নদীর তীর থেকে নৌকাযোগে গয়লাহোসেন গ্রামে যান অফিসার ও জনপ্রতিনিধিরা। সেখান উপস্থিত কৃষকরা তাদের অভ্যর্থনা জানান। কৃষি অফিসাররা চরাঞ্চলের বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। চরাঞ্চলে মুসুর, খেসারী, কালোজিরা, পেঁয়াজ, রসুন, গম, মিস্টি সজসহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ করেছেন।
মাঠে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মসুর ফসলের ওপর মাঠ দিবস ও কারিগরী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বারি-৮ জাতের মসুর চাষের আরোচনার আয়োজন করে টাঙ্গাইল সদর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ইসমত আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার লামিয়া খাতুন ও কাকুয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জয়নুল আবেদীন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার, উপ সহকারী কৃষি অফিসার মো. বেলাল হোসেন ও গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণ গয়লা হোসেন মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আমিরুল ইসলাম, কৃষক মো. আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশে যে পরিমাণ ডালের চাহিদা, সেই পরিমাণে আবাদ হয় না। সেজন্য ডাল আবাদী জমির পরিমাণ বাড়াতে হবে। এছাড়া জমিতে জৈব সার ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। যত্রতত্র রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে উপ সহকারী কৃষি অফিসারদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, ইব্রাহিম শেখ, মো. শাহজামাল, মো. কামাল মোল্লা, মো. নুরুল ইসলাম. মো. আবদুল খালেক, তারা বানু, আসমা বেগম ও প্রশাসনিক অফিসার মো. হুমায়ূন কবীর উপস্থিত ছিলেন।