টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়েছে। এই গঠনতন্ত্র সংশোধনের মধ্যদিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ছয় নেতাসহ ৯ জনের সদস্যপদ বাতিল হয়েছে। শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক বিশেষ সাধারন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারার সংশোধন করা হয়। এই সংশোধনের ফলে প্রেসক্লাব রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠনে পরিনত হবে।
এদিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে জাল সনদপত্র দাখিলের মাধ্যমে যারা সদস্যপদ লাভ করেছেন তাদেরকে আগামী সাতদিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় সদস্যপদ প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। প্রেসক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভায় এই সময়সীমা বেঁধে দেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক খান মোহাম্মদ খালেদ। এ সময় তিনি বলেন, এই প্রেসক্লাবের বিধান, গ্র্যাজুয়েট না হলে সদস্য হওয়া যাবেনা। তারপরেও অনেকে গ্র্যাজুয়েট না হয়েও সদস্যপদ চান বা সদস্যপদ লাভ করেছেন। অনেকে জাল সার্টিফিকেটে সদস্য হয়েছেন। এর চাইতে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারেনা। তিনি বলেন, জাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে যারা সদস্য হয়েছেন তারা নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছেন। যারা প্রেসক্লাবকে ভুল বুঝিয়ে জাল সনদ দিয়ে সদস্যপদ নিয়েছেন যার যার সম্মান নিয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তা না হলে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে প্রেসক্লাব জানা গেছে, ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৭৪ জন। এরমধ্যে দুইজন প্রয়াত হয়েছেন। বাকি ৭২ জনের মধ্যে অন্তত ১১ জন রয়েছেন জাল সার্টিফিকেটধারী। এসব সদস্য দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন গনমাধ্যমে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব জাল সনদধারীদের সদস্যপদ বাতিলের জন্যে নানা সময়ে দাবি উঠলেও অজ্ঞাত কারনে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।