টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সংগঠন দশমিক এর পক্ষ থেকে অসহায় পথশিশুদের মাঝে ৩০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পিঠা বিতরন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল শহরের আটপুকুর পাড় এলাকার ভাসমান ছিন্নমূল ও পথশিশুদের পিঠা খাওয়ানো হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দশমিক এর প্রতিষ্ঠাতা মিনারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি- আশিকুর রহমান, সহ-সভাপতি – তাহরিমা খান প্রভা, মহাসচিব- আমেনা আক্তার তিলোত্তমা, কোষাদক্ষ মিমি আক্তার , চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক প্রিয়াসা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যকরী সদস্য সুইটি, দশমিক ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্য- সেজুতি, সুহা, জীম, শান্তা, নাজাহতুন,
স্বেচ্ছাসেবী তরুণ ছাত্র ছাত্রীদের হাত খরচের জমানো টাকায় প্রায়ই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ৫০ জন ছিন্নমূল মানুষদের জন্য বিভিন্ন রকমের পিঠার আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা বলেন, দশমিক এর অতিথি ভোজনের অংশ হচ্ছে এই পিঠা উৎসব। এই ছিন্নমূল শিশুরাই আমাদের বিশেষ অতিথি। সুবিধা বঞ্চিত, ছিন্নমূল শিশুরা এসব কিছু মুখোরোচক পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে। এই শিশুদের সাথে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস, দশমিক পাঠশালাতে যেমন শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানে সময় দেয়া হয়, ঠিক তেমনি শিশুদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। আমরা ভিন্ন স্বাদে শীতের বিভিন্ন মুখোরোচক পিঠার আয়োজন করেছি তাদের জন্যে। পিঠা বাঙালি জীবন ও সংস্কৃতির এক অপরিহার্য উপাদান।
অনেক বছর ধরে নানা রকমের পিঠার আয়োজন চলে বাংলার ঘরে ঘরে। তবে পিঠার আসল সময় শুরু হয় শরৎকাল থেকে, নবান্নে তৈরি শিরনি ও পিঠা দিয়ে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অগ্রহায়ণে অর্থাৎ হেমন্তে নতুন ধান কাটার পর থেকেই মূলত পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। এক এক অঞ্চলে এক এক রকমের পিঠা তৈরি হয়। একই পিঠার নামও আবার অঞ্চলভেদে ভিন্ন। তবে এমন কিছু পিঠা আছে যেমন চিতোই পিঠা, পাটিসাপটা, পুলিপিঠা, নকশি পিঠা, তেলে পিঠা ইত্যাদি প্রায় সব অঞ্চলেই বানানো হয়।