সমাচার ডেস্ক : মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর স্মৃতি বিজড়িত সন্তোষে একটি বিশেষ মহল কর্তৃক সরকারি জলাশয় ভরাট করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে পৌর শহরের সন্তোষ পীর শাহাজামান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত বছর চ্যানেল ২৪ এ “ভাসানীর হাতে গড়া বাজার দখলে নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল মার্কেট” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে নজরে আসলে উধ্বর্তন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপে মার্কেট নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট বন্ধ হয়। এবছর আবার শুরু হয় মাটি ভরাট কাজ। পরে বাজার ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে আবারো বন্ধ রাখা হয়েছে মাটি ভরাট কাজ।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, পীর শাহ্জামান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির বর্তমান আহবায়ক ও ভাসানীর নাতি হাসরত খান ভাসানী, সদস্য সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম-আহবায়ক মাসুম আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন বিএসসি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই সন্তোষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বমোট ৩৩টি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনার কাজ শুরু করেন । এ কাজ গুলো বঙ্গবন্ধুকে সমন্বয় করেই শুরু করেছিলেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় সন্তোষে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ১০ একর জমি লীজের জন্য আবেদন করেন আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সে বছরই সেখানে আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত করেন পীর শাহ্জামান মার্কেট এবং ভোগ্য পণ্য সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৬ সালে ভাসানীর মৃত্যুর পর ১৯৮৪ সালে জাতীয় সংসদে গঠন করা হয় সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাষ্ট বোর্ড। এই ট্রাষ্টই বোর্ডের দখলেই ছিল এই জমি। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে ট্রাষ্টই বোর্ডের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষর হয় ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। আরও জানা যায়, ২০০৫ সালেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফজলুল করিম সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাষ্ট বোর্ড পক্ষে সেক্রটারী এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদরকে বিবাদী করে রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়ের করেন। ডিপি খতিয়ান ১/১ সাবেক দাগ ৮০৩,৮০৪, এবং হাল দাগ ২০০৪,২০০৫,২০০৬ । ২০০৭ সালে সে রেকর্ড মামলায় রায় পান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ।