টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার সাকিনা মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর শহিদুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসে।
অভিযোগের বিস্তারিত শহিদুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সালের আগস্টে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে তাকে চাকরি বাঁচাতে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে হুমকি দেওয়া হয় চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার। পরে ২০২৫ সালের মে মাসেও একই দাবি করা হয় এবং বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক ধর্ম মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ, মনোয়ারা খাতুন ও মো. ওয়াহাব আলী প্রধান শিক্ষকের সহযোগী হিসেবে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত।
তদন্ত ও অভিযোগের অগ্রগতি অভিযোগ পাওয়ার পর টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিস ধনবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ১২ আগস্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ বাবুল হাসান তদন্তে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষকদের অভিযোগ কিছু শিক্ষক জানান, গোলাম রব্বানী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বেড়েছে। এছাড়া তিনি সহকর্মীদের শোকজ, প্রবেশে বাধা, এমনকি নারী শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এ তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা ঘটেছিল, যার ফলে নিরপরাধ কয়েকজন শিক্ষককে হয়রানির শিকার হতে হয়।
প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যঅভিযোগ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রব্বানী জানান, “এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বলতে পারবেন।” শিক্ষা কর্মকর্তার মন্তব্য ধনবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ বাবুল হাসান বলেন, “ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”