অনলাইনে জুয়া খেলা দ্বন্দ্বের মিমাংসায় বসা সালিসি বৈঠক শেষে পূর্ব শত্রুতার জেরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাস্তায় প্রকাশ্যে মুসলিম উদ্দিন (৩৪) নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুজনের (২৭) বাবা মর্তুজ আলী মণ্ডলকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। এনিয়ে নাম উল্লেখিত ১৫ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ২ জন গ্রেফতার হলো।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে মর্তুজ আলী মণ্ডলকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুন জানান, মুসলিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ নম্বর আসামি হালিমের পর (৪৫) এবার মামলার ৩ নম্বর আসামি মর্তুজ আলী মণ্ডলকে গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তি সহযোগিতায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এনিয়ে অভিযুক্ত ২ আসামি গ্রেফতার হয়েছে। পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের বিশেষ অভিযান চলছে।গত ৪ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার মাটিকাটা এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম রমজান আলীর বাড়িতো সালিশ শেষে ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মুসলিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায় সুজন, রাকিব, মর্তুজ ও তার সহযোগীরা। হামলায় নিহত হন মুসলিম। আহত হন মুসলিমের বাবাসহ ৬ জন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক এজাহার ভুক্ত আসামি হালিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর মুসলিম উদ্দিনের ভাই মুসা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সুজনকে প্রধান আসামি করে তার বাবা মর্তুজ আলী মণ্ডল (৫২) ও সুজনের বোন জামাই রাকিব (২৫)সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০/১৬ অজ্ঞাতদের নামে এই মামলা হয়।মুসলিম উদ্দিন উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের জহেরের ছেলে। তিনি বালু ও গাছ কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন।