টাঙ্গাইলে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগে আলোচনায় এলজিইডির ইলেকট্রিশিয়ান জাহাঙ্গীর আলম। ভুক্তভোগীদের দাবি, প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে তিনি নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এ পর্যন্ত চারটি বিয়ের মাধ্যমে ২.৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী নারী দুই স্কুলশিক্ষিকা এবং অন্যান্য কয়েকজন নারী অভিযোগ করেছেন, জাহাঙ্গীর তাদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এছাড়াও জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে এক নারীর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনাগুলোর পরও জাহাঙ্গীর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্যপদ গ্রহণ করে। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলায় এলজিইডিতে কর্মরত। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার জালালপুর গ্রামে।
পূর্বঘটনার বিবরণ:২০১৯ সালে ঢাকায় প্রশিক্ষণের সময় টাঙ্গাইলের স্কুলশিক্ষিকা রেহেনা কাজলের সঙ্গে পরিচয় হয় জাহাঙ্গীরের। বিয়ের পর তিনি কাজলের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে জানা যায়, জাহাঙ্গীর ইতিপূর্বে একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং কর্মস্থলে নারীদের যৌন হয়রানিতে জড়িত ছিলেন।
২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরকে দুর্নীতির কারণে শোকজ করা হয়। পরবর্তীতে নারী সার্ভেয়াররা যৌন হয়রানির অভিযোগ জানান। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আরও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসও উল্লেখযোগ্য। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, জাহাঙ্গীর তার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা লোন নিয়ে দিয়েছেন এবং পরে ডিভোর্স দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য: রেহেনা কাজল বলেন, “আমার কাছ থেকে সাড়ে নয় লাখ টাকা, এক ভরি সোনার চেইন, ১২ আনার হাতের বালা এবং চার আনার কানের দুল নিয়েছে। আমি আমার টাকা ও স্বর্ণ ফেরত চাই।”
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন,জাহাঙ্গীর আমার মেয়েকে জোরকরে নিয়ে গেছে। আগেও জয়পুরহাটের লাভলী নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। এছাড়া তার সম্পর্কের কারণে এক ভ্যানচালকের স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।”
অভিযুক্তের বক্তব্য:জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমি কোন টাকা পাইনি, চার বিয়ে করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। ভুক্তভোগীরা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নজরদারি চেয়েছেন।