টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে মুসলিম উদ্দিন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ভূঞাপুর-যমুনা সেতু সড়কের মাটিকাটা এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এতে মুসলিম উদ্দিনের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনসহ হাজারও এলাকাবাসী অংশ নেয়।বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য মো. আমজাদ হোসেন, মোনায়েম হোসেন মোন্নাফ, নুরুল ইসলাম নুরু, মো. হাসমত নেতা, মো. মোমিন মিয়া, রতন মিয়া, মো. শিবলু, আকাব্বর হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মুসলিম উদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার ইন্ধন দাতাসহ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তারা।এ দিকে অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভূঞাপুর থানার ওসি একেএম রেজাউল করিম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহিমা বিনতে আখতার। তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে ২ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে লোকজন অবরোধ তুলে নেয়। এ সময় সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, মুসলিম উদ্দিন হত্যার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, মুসলিম উদ্দিন হত্যা মামলার আসামিদের ব্যাপারে আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর বিকালে সালিশ শেষে ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মুসলিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায় সুজন, রাকিব, মর্তুজ ও তার সহযোগীরা।
হামলায় নিহত হন মুসলিম। আহত হন মুসলিমের বাবাসহ ৬ জন। এ ঘটনায় মুসলিমের ভাই মুসা বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হালিম নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।