আইনের দুর্বলতার কারনে তামাক কোম্পানি বেপরোয়া, তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা জরুরি- এবিষয় নিয়ে গতকাল সোমবার প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি-নাটাব টাঙ্গাইল শাখা টাঙ্গাইল ল কলেজ মিলনায়তনে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন নাটাব টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ। বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শামসাদুল আক্তার শামীম, এডভোকেট মালেক আদনান, মাসুদুল হক, রিয়ান রাজা প্রমুখ। কনফারেন্সে নাটাবের ফিল্ড অফিসার শাহীনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার ও জনস্বাস্থ্যের চিত্র তুলে ধরে প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ অনুসারে বাংলাদেশে প্রায় পৌনে চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। দেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী তামাক পণ্য ব্যবহারাকারীর হার ৩৫.৩%। পরোক্ষ ধূমপায়ীর হার ১৮%। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০.৬%। তামাক ব্যবহারের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগে মানুষ আক্রান্ত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য (২০১৮) অনুযায়ী দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিদিন প্রায় ৪৪৪ জন মানুষ মারা যায়। তামাকের এই বহুল ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
টোব্যাকো অ্যাটলাস ২০১৮ অনুসারে, তামাকজনিত নানা রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ ছাড়াও লাখ লাখ মানুষ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।











