টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাশি গ্রামের পুলিশ সদস্য এএসআই রাশেদুজ্জামান মান্নান বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েক বছরে তিনি এলেঙ্গা পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকায় অন্তত ৫০০ শতাংশ জমি কিনেছেন, যার বাজারমূল্য শতকোটি টাকার বেশি।
এ সম্পদের উৎস জানার জন্য তারা দুদক, পুলিশ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মান্নান বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে কর্মরত। তিনি কালিহাতীর বাশি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জিন্নত আলীর ছেলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অতি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মান্নান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় পুলিশে চাকরি পান এবং ধীরে ধীরে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলেঙ্গার সাহাপাড়া, হাই স্কুলসংলগ্ন এলাকা, বাজারসংলগ্ন মসজিদের সামনে, বাশি রাস্তাসংলগ্ন জমিসহ একাধিক স্থানে তার জমি রয়েছে। এছাড়াও এলেঙ্গা ব্রিজের পাশ, ঢাকায় ফ্ল্যাট, গাড়ি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভাড়াটিয়াদের ভাষ্য অনুযায়ী, মান্নানের জমি ও সম্পদের বাজারমূল্য কোটি কোটি টাকা। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তিনি প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করেছেন এবং পুলিশের নাম ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজন বাসিন্দা বলেন, আব্দুল মান্নান অন্তত ৫০০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এর মূল্য শতকোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমরা চাই, দুদক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখুক।” অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে এএসআই রাশেদুজ্জামান মান্নান বলেন, আমার নামে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি বেতনের টাকায় সংসার চালাই, কোনো অবৈধ সম্পদ আমার নেই।”