জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে দশম দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাংবাদিক ও চিকিৎসকরা।
সিলেটের দুই সাংবাদিক আদালতে বর্ণনা দেন, কিভাবে তাদের সহকর্মী ফটোসাংবাদিক আবু তোয়াব গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। তারা জানান, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই গায়েবানা জানাজা ও পরবর্তী বিক্ষোভ মিছিলে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলির মুখে পড়েন তারা। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও গুলি চালাতে থাকে পুলিশ। এক পর্যায়ে আবু তোয়াব গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তারা আরও জানান, এ ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এদিন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালীন বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসকরাও। দুপুর ১২টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে গত ৯ দিনে জুলাই আন্দোলনে আহতরা, শহীদ পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, সাংবাদিক এবং হত্যাযজ্ঞের প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ২৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এদিকে, রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা এক জনকে গুলি ও দুই জনকে হত্যার মামলায় পলাতক ডিএমপি কমিশনার হাবিবসহ চার আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর।