বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালের প্রভাব পড়েছে ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে। সকাল থেকে শুধু জরুরি সেবার কিছু পরিবহন আর সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছাড়া কোনো দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে রেল চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
মহাসড়ক ও শহরের কোথাও বিএনপি আর জামায়াত সমর্থকদের পিকেটিং করতে দেখা না গেলেও নাশকতা ঠেকাতে জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ছিল ব্যাপক তৎপরতা। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল আদালত চত্বরে হরতাল সমর্থনে মিছিল ও সভা করেছে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। অন্যদিকে হরতালের প্রতিবাদে লাঠি মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর অংশের আশেকপুর, ঘারিন্দা ও রাবনা বাইপাস এলাকা প্রায় ফাঁকা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ছিল পুলিশ ও র্যাবের টহল বাহিনীর তৎপরতা।
টাঙ্গাইল থেকে সখীপুর সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রাসেল বলেন, হরতাল চলাকালে কিছু কিছু অটোরিকশা সড়কে চলাচল করলেও আমি বের হইনি। জানের চেয়ে কি পয়সা বড়। ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জগামী এসআই পরিবহণের বাসচালক রাজন মিয়া বলেন, মালিক সমিতি থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি বাস বন্ধ রেখেছি। শনিবার ঢাকায় থামা কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার কারণে আমি সতর্ক হয়েছি। জান আর মাল গেলে ক্ষতিপূরণ কেউ দেবে না। এছাড়াও ঝুঁকি নিয়ে একদিন বাস চালিয়ে তেমন কোনো ইনকামও হবে না। আমি বাড়িতেই অবস্থান করছি।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাহিদ হাসান জানান, হরতালের কারণে মহাসড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কম। তবে এখন পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরাপদে যাতায়াত করছে মহাসড়কের চলাচলরত পরিবহণগুলো।