বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকায় ছাত্র হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ কর্মী তারেক আহমেদ ওরফে অনিককে ঝিনাইদহ সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল সোমবার ভোররাতে জেলার মহেশপুর সীমান্তের মাটিলা এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবির এ তথ্য জানানো হয়।
তারেক আহমেদ ঢাকা মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি হাজী আবু তাহেরের ছেলে এবং ঢাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী। তিনি বাড্ডা থানার উত্তর বাড্ডা ভাওয়ালিয়া পাড়া সুতিভোলা এলাকার বাসিন্দা। বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মোল্লা ওবায়দুর রহমান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, তারেক আহমেদ মহেশপুর সীমান্তের মাটিলা এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন। খবর পেয়ে রোববার গভীর রাত থেকেই সীমান্তের ওই এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি। এরপর গ্রামের বিভিন্ন এলাকা, জঙ্গল ও বাগানে তল্লাশি শুরু করে। পরবর্তীতে নিশ্চিত হওয়া যায়, মাটিলা গ্রামের সীমান্তবর্তী একটি মেহগনিবাগানে তিনি লুকিয়ে আছেন। পরে সেখানে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ভোররাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার কারণে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হওয়া একাধিক মামলার তালিকাভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন তারেক আহমেদ। তিনি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এবং পরে ইতালিতে যেতে চেয়েছিল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।