গোপালগঞ্জের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে দ্বিতীয়বার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, এমনকি আইজিপি হিসেবে ফের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকেও ‘না’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেলের সামনে এই দাবি করেছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার জেরায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে, সকালেই জেরায় অংশ নেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্টেট ডিফেন্সের পক্ষ থেকে আমীর হোসেন তার সাক্ষ্য নেন। গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় অতিরিক্ত বল ব্যবহার করার সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক প্রভাবের ফল।
এছাড়া, আন্দোলনে লেথাল ওয়েপন ব্যবহারের নির্দেশনা আসার কথাও তিনি উল্লেখ করেন, যা তখনকার প্রশাসনিক পদাধিকারীদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের এই সাক্ষ্য পরে আওয়ামী লীগ আমলে গুম-খুন ও জুলাই গণহত্যার প্রমাণ হিসেবে চিফ প্রসিকিউটর উল্লেখ করেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৬ জন সাক্ষ্যদাতা সাক্ষ্য প্রদান করেছেন, যার মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন অন্যতম।