যাকাত, ফেৎরার অর্থ বর্জন করেও যে মাদরাসা শিক্ষায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করা যায়, তার প্রমাণ দেখিয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পৌর শহরের সামসুদ্দীন-সামসুন্নাহার বায়তুল উলুম মাদরাসা।
এই মাদরাসার হিফজ বিভাগ থেকে, ৭মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছেন, মির্জাপুর গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের পুত্র মো. সাদিকুল ইসলাম সিয়াম। গত জুনে এই মাদরাসা থেকেই ১৫০দিনে হিফজ সম্পন্ন করেন, একই গ্রামের মো. নিজামুদ্দীনের পুত্র মো. বায়েজিদ ইসলাম (১০) ।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মাদরাসার হলরুমে তাকে ছবক দেয়া হয়েছে। মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম, হাফেজ মেহেদী হাসান, হাফেজ মুহাম্মদ আবু সাঈদ, হাফেজ মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট তারা হিজফ সম্পন্ন করেন।
এছাড়াও, ২৫ডিসেম্বর’২৪ প্রকাশিত নূরানি তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশে’র অধীনে কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় সারাদেশের ১০১৯৭টি প্রতিষ্ঠানের, ৭লাখ ২৭হাজার ৭১৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে, সামসুদ্দীন-সামসুন্নাহার বায়তুল উলুম মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী আফিয়া আয়শা রোজা ২য় স্থান, মোছা. সিফাতুল জান্নাত ৭ম স্থান, মোছা. জান্নাতুল ফেরদাউস ৮ম স্থান, মনিরুল ইসলাম মাহিন ১৬তম স্থান অর্জন করেছে। সকল শিক্ষার্থী এ-প্লাস পেয়েছেন।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানান, যাকাত, ফেৎরার অর্থ বর্জন করা, ব্যতিক্রমধর্মী এই মাদরাসার মহিলা শাখা স্পোকেন ইংলিশ এন্ড এরাবিক উইথ কওমী সিলেবাসে পরিচালিত হয়। স্বল্প সময়ের জন্য মহিলা ও হিফজ শাখায় ভর্তি চলমান রয়েছে।
ছবক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল আলম খোকন, সেক্রেটারী কুদরত ই ইলাহি রুপক, সদস্য হায়দার আলী, সদস্য প্রিন্স ইকবাল, নূরানী বিভাগের প্রধান মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।