টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার গাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিদা এবং পুলিশ অফিসার খন্দকার রাসেলের শিশুপুত্র রাহেনুল ইসলাম আরাফের (৬) গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার হাইটেক পার্কের সীমান দেয়ালের নিকট থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
গত ৮ অক্টোবর সকালে দাদার বাড়ি থেকে অপহৃত হয় আরাফ। আরাফের দাদা নাসির উদ্দীন ঐদিন গোপালপুর থানায় একটি জিডি করেন। নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর দুবর্ত্তরা মোবাইলে ১০ লক্ষ টাকার মুক্তিপন দাবি করে। অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার থানা পুলিশ উপজেলার নবধুলটিয়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে নুরনবীকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক থানা পুলিশ গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আব্দুর কাদিরের ছেলে মোকাব্বির হোসেনকে আটক করে।
গোপালপুর থানার এসআই এবং তদন্তকারি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অপহরণের ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় মামলা হয়। ওই দিন দুই আসামীকে টাঙ্গাইল আদালতে চালান দিলে বিজ্ঞ আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন। তিনি আরো জানান, আরাফের বাবা খন্দকার রাসেল গোপালপুরের গাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানায় উপপরিদর্শক হিসাব কর্মরত রয়েছেন।
গাজীপুর তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর আরাফর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।মামলার বাদি এবং অপহৃত আরাফর দাদা নাসির উদ্দীন জানান, তার পুত্র কিশোরগঞ্জে চাকরি করেন। পুত্র বধূ ও একমাত্র নাতি তার সাথে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ঘটনার দিন চিপসের লোভ দেখিয়ে আরাফকে কৌশলে অপহরণ করেন নুরনবী। অপহরণের পর দুবর্ত্তরা ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। মুক্তিপন না পেয়ে আরাফকে নৃশংসভাবে খুন করে। তিনি অপহরণকারিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।গোপালপুর থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দীন খবরটি নিশ্চিত করেন।