আপনাদের প্রিয় কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদী, প্রতিটা মাহফিলে শেষে একটা কথা বলতেন। কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এমন একটা দৃশ্য দেখে যেন আল্লাহতায়ালা আমাকে মৃত্যু দেয়।
তিনি কি সেই কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে এমন দৃশ্য দেখে চলে গেছেন? চলে যান নাই। তিনি জুলুম অবস্থা, দেশে শান্তি নাই এমন অবস্থা দেখে গেছেন। কিন্তু সেই অশান্তির মধ্যেও আপনাদের সকলকে সালাম জানাইছেন, জানাইছেন কিনা? দেখছেন ফেসবুকের মধ্যে, এরকম মিষ্টি মধুর হাসি আর দেখছেন জীবনে? একটি সুন্দর হাসি দিয়ে, সকলকে সালাম দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিছেন। উনি কিন্তু সাধারণভাবে দুনিয়া থেকে যান নাই। ১৩টা বছর জেলের মধ্যে বন্দি থাকছেন। আপনাদের প্রতিবাদের কারনে ২৮শে ফেব্রুয়ারি সেই ফাঁসির রায় রুদ্ধ হয়েছে।
কিন্তু আজীবন জেলে থাকতে হয়েছে। জেলে থাকার পরে, তাকে মিথ্যে কথা বলে, হার্ট অ্যাটাকের কথা বলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে তাকে চিকিৎসার নামে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে! সে হত্যার বিচার চান? হত্যার বিচার কীভাবে করবেন? হত্যার বিচার করবেন তার যে স্বপ্ন ছিলো, শেষ কথা ছিল। কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে এই দৃশ্য দেখে যেনো তার মৃত্যু হয়, তার সেই স্বপ্ন কি পূরন হয়েছে ? আমরা তার সেই স্বপ্ন পূরণ করবো রাজি আছি? কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠা করার আমাদেরকে কোরআনের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে । যে কোরআনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য আল্লামা সাঈদীকে ১৩বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। ফাঁসির রায় নিতে হয়েছে ।
১৩ বছর শীতের মধ্যে, গরমের মধ্যে ছোট্ট একটা ঘরের মধ্যে থাকতে হয়েছে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাজীপাড়া তালীমুল কোরআন নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে, সোমবার (২৫নভেম্বর)রাত ১১টায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে অংশ নিয়ে, বক্তব্যে এসব কথা বলেন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় সন্তান ও আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা শামীম সাঈদী।
তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সভাপতি ছিলেন, ঘাটাইল দাখিল মাদরাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা আফসার আলী তালুকদার, প্রধান বক্তা ছিলেন মুফতি আমির হামজা, কুষ্টিয়া। এসময় ঘাটাইল, গোপালপুরসহ আশেপাশে উপজেলার কয়েক হাজার মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।