ইসলামে আজান মুসলিম সমাজের দৈনন্দিন কর্মসূচির অন্যতম প্রতীক। শুধু নামাজের আহ্বান নয়, বরং আজান শোনার পর দোয়া পড়ার মধ্যেও রয়েছে অপরিসীম ফজিলত ও সওয়াব।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি আজান শুনে নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফায়াত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করবে।
হাদিসের বর্ণনা: জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
আরবি দোয়া: اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দা’ওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কাইমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব। মুহাম্মদ (সা.)-কে জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম ও বিশেষ সম্মান দান করুন। তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন।”রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এই দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে আমার শাফায়াত লাভ করবে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৪)