দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে এই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; মহাপুলিশ পরিদর্শক; র্যাব, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট, গার্ড, এনএসআই, ডিজিএফআই-এর মহাপরিচালক, এসবি’র অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের উপকরণ প্রায় কেনা শেষে পথে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ইসি। সরকারি মুদ্রণালয়কে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য উপকরণ ছাপানোর নির্দেশনাও দিয়েছে ইসি। আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।
এ প্রসঙ্গে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমন্বয়ের জন্যই তাদের ডাকা হয়েছে। প্রত্যেকবারেই আগে থেকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সমন্বয়ের বিষয়টি জানানো হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিধিদের ডাকা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের পরবর্তী সময় পর্যন্ত যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকে, সেই বিষয়েই বার্তা দেওয়া হবে। মূলত, আগামী নির্বাচন সফল করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হবে।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো। খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে এবার ভোটকেন্দ্র টিকেছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এতে ভোটকক্ষ রয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজারের মতো।