বিএনপি জামাতের ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধে দূর-পাল্লায় চাহিদা বেড়েছে ছোট ছোট যানবাহনের। ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গতকালের চেয়ে আজ বুধবার যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও যাত্রীর চলাচলে ভোগান্তি রয়েছে।
এতে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে অটো, সিএনজি এবং লেগুনায় করে যাতায়েত করছে। ফলে তারা বাড়তি বাড়া দিয়ে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। এদিকে সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রশাসনের কড়া নজরদারি দেখা গেছে। অপরদিকে বিএনপির কোন নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, আশিকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ছোট ছোট যানবাহনে যাত্রীদের কদর। দর কষাকষি করে ছোট যানবাহন চলছে দৃর-পাল্লায়। কয়েকজন যাত্রী বলেন, সকালে আমাদের অফিস করতে হয়। এর আগে নিয়মিত বাসে করে অফিস করতাম।
এখন জনপ্রতি সিএনজিতে উঠলেই গুনতে হয় দুইশ’ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার অবরোধে যাতায়াতে প্রায় পাঁচশ’ টাকা খরচ। তারপরও মনে করছি বিকল্প একটা ব্যবস্থা ভাল হয়েছে। সিএনজি চালক কালু, আরিফ, রবিউল বলেন, আমরা আগের ভাড়াই দিয়ে কিছু কিছু চাকরিদের সেবা দিচ্ছি। অবরোধে কয়েকটি এলাকায় প্রায় শতকখানি সিএনজি চলাচল করছে। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া বলেন, মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই নজর দারিতে আছি। আমাদের উদ্যেশে কোন বিশৃংখলা যেন কেউ সৃষ্টি করতে না পারে। তবে মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, মহাসড়কে ৮টি পয়েন্টে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এছাড়াতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।