দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কত সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করবে, তা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। অবশ্য এ সংখ্যার সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত নেই। নির্বাচনে স্বশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে কিনা ইসি সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে স্বশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিরা বৈঠক করে। এই বৈঠকে মূলত এসব বাহিনীর বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে ইসির কাছে পৃথক চাহিদা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তারা কিছু অর্থ আগামও চেয়েছে। তবে চাহিদার বিষয়ে ইসির তরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে যারা নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালন করবে, তাদের অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের জনবলের ভিত্তিকে একটি চাহিদা দিয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত হার হিসেবে কত সংখ্যক সদস্য নিয়োগ হবে, সেই অনুযায়ী অর্থ প্রদান করা হবে।’
তিনি জানান, তারা কিছু অগ্রিম বরাদ্দ চেয়েছে। বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তার কতটুকু আমরা দিতে পারবো, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কত টাকা বরাদ্দ চেয়েছে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু চূড়ান্ত নয়, কাজেই এটা বলতে চাচ্ছি না। তবে কত সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করবে, সেটা জানাতে পারি। ভোটের মাঠে আনসার ৫ লাখ ১৬ হাজার, পুলিশ ও র্যাব এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫৫ জন ও বিজিবি ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন থাকবেন।
জানা গেছে, পদ মর্যাদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভাতা পেয়ে থাকেন। একজন পুলিশের সর্বনিম্ন ভাতা ৫৩৬ টাকা, সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা। র্যাবও একই পরিমাণ ভাতা পেয়ে থাকেন। বিজিবি সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা, সর্বোচ্চ ১২২৫ টাকা ভাতা পাবে। কোস্টগার্ড সর্বনিম্ন ৬৩৭ টাকা, সর্বোচ্চ ১৮০০ টাকা, আনসার সদস্যরা সর্বনিম্ন এক হাজার, সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০ টাকা ভাতা পান।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগেই ইসির কাছে একটি খসড়া চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ৪৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, আনসার ও ভিডিপি চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা, র্যাব ৫০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং কোস্টগার্ড ৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে।