জাতীয় নির্বাচনের পর এখন আন্দালনের গতি প্রকৃতি কেমন হবে, তা ঠিক করতে প্রতিদিন দলের নেতারা বৈঠক করছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপি এখন কোন ধারায় আন্দোলন করবে, তা নিয়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
আজ শনিবার দপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচনের পর এখন বিএনপির নতুন কর্মসূচি কি হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমাদের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন প্রায় বসছেন। কর্মসূচি ঠিক করে তারা জানাবেন।’ বিএনপি কর্মসূচি ও আন্দোলনের মধ্যে আছে বলেও জানান তিনি।
নতুন কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন এক ধারায় হয়েছে। এখন আমরা কোন ধারায় আন্দোলনে যাবো, আমাদের সঙ্গে আরো দল রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয় আছে। কথা বলার পরে একটা কর্মসূচি ঠিক হয়। সেভাবেই আমাদের কর্মসূচি যাচ্ছে।’
এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হবে এটা ১৯৬২ সালে জানা গেছে? ১৯৬৯ সালে জানা গেছে? তাই কখন কোন পরিস্থিতি হবে, তা বলা যায় না। শুধু একটা কথাই বলা যায় জনগণের আন্দোলন যদি আদর্শের হয়, ন্যায়ের হয়, গণতন্ত্রের পক্ষে হয় সেই আন্দোলন কখনো বৃথা যাবে না।’
এর আগে লিখিত বক্তব্যে রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাবন্দী হয়ে এখনও এক দম বন্ধ করা জীবন যাপন করছে। সমস্ত মানবিক মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়ণের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারী নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও সরকার সেগুলোকে ভ্রুক্ষেপ করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম প্রমুখ।