ঢাকা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের আন্তরিক সহযোগিতায় গত ঈদে মাত্র ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছিল বলেই আমরা সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। অতএব জনগণ সহযোগিতা করলেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বুধবার (৪ অক্টোবর) উত্তর সিটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন মিরপুর, শেওড়াপাড়া এলাকায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ড্রেন বা নর্দমার পানিতে কিন্তু এডিস মশার জন্ম হয় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
জমে থাকা স্বচ্ছ পানি ফেলে দিন। আতিকুল ইসলাম বলেন, বাসা-বাড়ির বর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে বা খালে দেওয়া যাবে না। নিজেদের বাসা বাড়িতে নিজস্ব ব্যবস্থায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। খালগুলোকে বাঁচাতে হবে। জলাশয়গুলোকে বাঁচাতে হবে। সড়কের বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, শুধু প্রধান সড়ক প্রশস্ত হলে হবে না। প্রধান সড়কের পাশাপাশি টারশিয়ারি রোড প্রশস্ত করা হলে যানজট কমে যাবে। তবে ন্যুনতম ২০ ফিট রাস্তা নির্মাণের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। জনগণ জায়গা ছাড়লে আমরা রাস্তা নির্মাণ করে দেবো।
রাস্তা চওড়া হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স সহজে, দ্রুত যাওয়া আসা করতে পারবে। জনগণ সম্পৃক্ত হলে সব কাজ বাস্তবায়ন করা সহজ হয়ে যায় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, রাস্তা চওড়া করার জন্য আমি কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে উচ্ছেদ করলে অনেকে অসন্তুষ্ট হন। কিন্তু রাস্তা চওড়া হলে সুবিধা মেয়র ও কাউন্সিলররা পাবেন না। বরং সর্বস্তরের জনগণ এ সুবিধা ভোগ করবে। এসময় স্থানীয় জনগণ মেয়রের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা মাঠের দাবি জানালে মেয়র বলেন, এ এলাকায় সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জমি নেই খেলার মাঠ নির্মাণের জন্য। আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছে জমি চেয়েছি। তারা যদি হস্তান্তর করে তাহলে আমরা খেলার মাঠ নির্মাণ করে দেবো। বিভিন্ন এলাকায় খাস জমি রয়েছে। অনেক খাস জমি বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো খুঁজে বের করে খেলার মাঠ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির অঞ্চল-০৪ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।