ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে প্রার্থীরা বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে, তবে ছাত্রী হলে রাত ১০টার পর আর অনুমতি নেই।
ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিন, অপরাজেয় বাংলা ও বিভিন্ন হল প্রাঙ্গণে প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ করছেন এবং শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তবে প্রার্থীদের অভিযোগ, কিছু আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
এর আগে মঙ্গলবার থেকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রচারণায় মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন গুরুতর অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া ভোটের দিন ক্যাম্পাসে সেনাসদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ভোটার সংখ্যা ৩৯,৮৭৪ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জনসহ বিভিন্ন পদে প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। শুধু সদস্য পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২১৭ জন।এছাড়া, হল সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থী ১ হাজার ৩৫ জন। এর মধ্যে ৭৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন এবং ১ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর আগে ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল।