টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত একমাত্র সাহিত্যপত্রিকা সময়ের সাহিত্যকন্ঠ-এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর (সাবেক ভাইস- চ্যান্সেলর, শের- ই -বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা) ড. শাহ-ই-আলম। সময়ের সাহিত্যকন্ঠের সম্পাদক কবি আযাদ কামালের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) এ,এম, জহিরুল হায়াত, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিন ও টাঙ্গাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্বকাল পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলাম বাদল, নজরুল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম আম্বিয়া, এলেঙ্গা সাহিত্য সংসদের সভাপতি ছড়াকার কাশীনাথ মজুমদার পিংকু, সময়ের সাহিত্যকণ্ঠের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন বকুল, বর্তমান নির্বাহী সম্পাদক কবি বুলবুল আহমেদ ও কবি সেলিম রেজা কাজল।
উল্লেখ্য, সময়ের সাহিত্যকন্ঠের প্রধান উপদেষ্টা এবং অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সভাপতি কবি বুলবুল খান মাহবুব হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি । তিনি অডিও কলে সময়ের সাহিত্যকণ্ঠের প্রতি শুভকামনা জানান ও সম্মাননাপ্রাপ্ত গূণিজনসহ অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরবর্তীতে খন্দকার নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শাহ-ই-আলম বলেন, ‘কবিসাহিত্যিকরা সমাজের ধারক, রাষ্ট্রের ধারক। সুস্থ সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়তে হলে সাহিত্য চর্চার কোনো বিকল্প নেই। সময়ের সাহিত্যকন্ঠ সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।’ বিশেষ অতিথিবৃন্দও তাদের বক্তব্যে সময়ের সাহিত্যকণ্ঠের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং শুভকামনা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন সাংবাদিক এবং আবৃত্তিকার বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আৃত্তি শিল্পী আরিফ আহমেদ, সাদিয়া ইসলাম, তাবাসসুম আরেফিন ছন্দা, কবি ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ইমাম হাসান সোহান । এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিন জন গুণী লেখককে সময়ের সাহিত্যকন্ঠ সম্মাননা-২০২৪ প্রদান করা হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন: কথাসাহিত্যে বাদল মেহেদী, প্রবন্ধসাহিত্যে ড. ইউসুফ খান এবং কবিতায় মাহমুদ কামাল। প্রধান অতিথি ড.শাহ-ই-আলম তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুশতাধিক কবি-সাহিত্যিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।