টাঙ্গাইলে ড্রপ তার সংকটে সংযোগ পাচ্ছেন না পল্লী বিদ্যুতের অন্তত তিন হাজার গ্রাহক। জেলার মির্জাপুর ও গোড়াই জোনাল অফিসের অধীনে এসব গ্রাহক বিদ্যুৎ না পেয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে মির্জাপুর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। মির্জাপুর ও গোড়াই জোনাল অফিসের মাধ্যমে এ উপজেলায় আবাসিক ও শিল্পকারখানায় বিদ্যুতের সেবা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু গত ৪-৫ মাস ধরে বৈদ্যুতিক ড্রপ তার পাচ্ছে না দুই জোনাল অফিস। ফলে মির্জাপুর জোনাল অফিসের আওতাধীন দুই হাজারের বেশি ও গোড়াই জোনাল অফিসের আওতাধীন প্রায় ৬০০ গ্রাহক বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছেন। তারা মিটার সংযোগ পেতে প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিসে ঘুরছেন। ড্রপ তার সংকটের কারণে গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে পারছে না এ দুই অফিস। কিন্তু অফিসের কতিপয় লাইনম্যান পুরাতন তার সংগ্রহ করে বাড়তি আর্থিক সুবিধা নিয়ে সংযোগ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মির্জাপুর পৌর এলাকার পুষ্টকামুরী গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী জানান, কয়েক মাস হয়ে গেল মিটারের আবেদন করেছি। ড্রপ তার না থাকায় সংযোগ পাচ্ছেন না। একই গ্রামের বাসিন্দা মোর্শেদা আক্তার বলেন, দুটি মিটারের জন্য মির্জাপুর অফিসে আবেদন করেছি। কিন্তু মিটার সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অফিস থেকে বলা হয়েছে আমি নিজে তার কিনে দিলে সংযোগ দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদরের একজন বাসিন্দা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ঘুরতে ঘুরতে সংযোগ না পেয়ে অবশেষে নিজের টাকায় ড্রপ তার কিনে তিনটি মিটারের সংযোগ নিয়েছেন। মির্জাপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. জসিম উদ্দিন জানান, তার সংকটের কারণে তারা গ্রাহকদের সেবা দিতে পারছেন না। অফিসে দুই সহস্রাধিক গ্রাহকের আবেদন ও সিএমও জমা আছে। প্রতিনিয়ত গ্রাহকের বিভিন্ন কথা শুনতে হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত তার সংকট সমাধান হবে বলে আশা করছেন। গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার গোড়াই জোনাল অফিসের ডিজিএম খালিদ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, তার অফিসে প্রায় ৬০০ আবেদন জমা আছে। শুধু মির্জাপুরেই নয়, সারাদেশে তার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তারসহ সবধরনের সরঞ্জাম ক্রয় করে দেয়। গত কয়েক মাস ধরে ড্রপ তার পাচ্ছে না কোনো অফিস। ড্রপ তার পেলেই দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারবেন বলে জানান।