সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০টি বড় প্রতিষ্ঠানের ঋণ ১৫ বছরের মেয়াদে পুনঃতফসিলের অনুমোদন দিয়েছে। এ সুবিধায় মাত্র ১% ডাউন পেমেন্টে সব ঋণ ১৮ বছরে পরিশোধের সুযোগ মিলবে, সঙ্গে থাকছে তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ড।
এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ কর্মসূচির প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপে আরও এক হাজার প্রতিষ্ঠানের আবেদন বিবেচনায় রয়েছে, যাদের ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কয়েকটি কারণে: করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক মন্দা ডলার সংকট ও উচ্চ সুদের চাপ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধজনিত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা
মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যবসায়ীরা এ সুযোগকে স্বস্তির মনে করছেন, তবে অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা শঙ্কিত সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে। অনেকের মতে, স্বল্প ডাউন পেমেন্ট, সুদের হার, কিস্তির ধরনসহ নানা বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। বিশেষ করে উচ্চ সুদের হারে ঋণ তিন গুণে পৌঁছানোর ঝুঁকি রয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এ উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত ও স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। যেমন— সুবিধাটি কেবল নির্দিষ্ট কোম্পানির জন্য না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করা ব্যবসা চালু আছে কি না, সেটিকে শর্ত হিসেবে রাখা প্রথমে মূল টাকা পরিশোধ, পরে সুদপুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে পরিচালনা করা
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, তবে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এটি সর্বজনীন ও স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের ব্যাংকিং খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অন্যথায় খেলাপি ঋণের বোঝা আরও বাড়তে পারে।