টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় বিভিন্ন হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে । এক কেজি আলুর দাম ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । স্থানীয়দের মতে, এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনো দেখা যায়নি। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে আলুর মূল্য এতটাই বেড়েছে যে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্রেতাদের দাবি, বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং কঠোর নজরদারি চালানোর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে তারা আশা করছেন।
ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিকেজি আলুর দাম ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। ধনবাড়ী কাঁচা বাজারের আব্দুল আলিম বলেন, ” ছেলে মেয়েরা আলুর তরকারি ছাড়া ভাত খেতে চায় না। তাই আলুর দাম যতই বাড়ুক, কিনতে বাধ্য হচ্ছি। আলুর দাম দিনদিন বেড়েই চলছে ।” অন্যদিকে, বাজারের আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকাম থেকেই বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে।
ভাইঘাট বাজারের ব্যবসায়ী সুজন বলেন, “আমরা মোকামে ৭৫ টাকায় আলু কিনে এনে খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করছি। এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে আমাদের লাভ থাকবে না।” এক ক্রেতা জালাল উদ্দীন বলেন, “আমার জীবনে খুচরা বাজারে আলুর দাম কখনো এতো বেশি দেখিনি। সরকারের বাজার তদারকির অভাবেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আলুসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার বর্তমানে চরম অস্থিতিশীল। সঠিক তদারকির মাধ্যমে এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা দরকার।”
ধনবাড়ী বাজারের হাকিম বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু কৃষক বা নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, পুরো মধ্যবিত্ত শ্রেণিকেও নাজুক অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সংকট আরও তীব্রতর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।” সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, সরবরাহ ব্যবস্থার ঘাটতি, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং বাজার তদারকির অভাবেই নিত্যপণ্যের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি ) সায়েম ইমরান বলেন , “বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি এবং বাজার পরিস্থিতি নজরদারিতে রয়েছে। যদি কেউ অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করে বা বাজার ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।